গাজায় আগ্রাসনের সময় ইসরায়েলকে ‘সমর্থন’ দিয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১৫:৫২ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ছবি: সংগৃহীত
রাতভর অবিরাম বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠেছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে তীব্র লড়াই চললেও রাজধানীতে শোনা যাচ্ছে বড় বড় বিস্ফোরণ। বলা চলে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এখন চরম পর্যায়ে। আর ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইউক্রেন।
রুশ বাহিনীর অভিযান নিয়ে একের পর এক টুইট করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমিরি জেলেনস্কি। অথচ এই নেতাই গত বছর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারদের চালানো বর্বরোচিত হামলাকে এড়িয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা জবাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
২০২১ সালের ১২ মে টুইটারে ভলোদমিরি জেলেনস্কি বলেছিলেন, ওই যুদ্ধে নাকি ইসরায়েলই ‘ভিকটিম’ (ভুক্তভোগী) ছিল।
জেলেনস্কি সেই সময় বলেছিলেন, ইসরায়েলের আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রে ছেয়ে গেছে। কয়েকটি শহরে আগুন লেগেছে। অনেকে ভুক্তভোগী। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। অনেক ট্র্যাজেডি। শোক আর দুঃখ ছাড়া এসব দেখা অসম্ভব। জনজীবনের স্বার্থে অবিলম্বে এ উত্তেজনা বন্ধ করা প্রয়োজন।
অথচ গাজা উপত্যকায় অসংখ্যবার বিমান হামলা ও কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। গুঁড়িয়ে দিয়েছিল কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) কার্যালয় ভবন।
The sky of #Israel is strewn with missiles. Some cities are on fire. There are victims. Many wounded. Many human tragedies. It is impossible to look at all this without grief and sorrow. It is necessary to stop the escalation immediately for the sake of people's lives.
ইউক্রেনের অবস্থা এখন অনেকটা ফিলিস্তিনের মতো। দখলদারদের আক্রমণে রক্তবন্যায় ভাসছে তাদের রাজপথ। এ অবস্থায় ফের আলোচনায় উঠে এসেছে জেলেনস্কির সেই টুইট। দখলদার ইসরায়েলকে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে অনেকেই টুইট-রিটুইট করছেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/এনকে