পাখি পরিচিতি
পাখির নাম বন বাচকো
ফিচার ডেস্ক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১৬:৫৯ ১০ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ১৪:০০ ১৫ জানুয়ারি ২০২২

পাখির নাম বন বাচকো। বৈজ্ঞানিক নাম Gorsachius melanolophus। ছবি : সংগৃহীত
পাখির নাম বন বাচকো। এরা বাংলাদেশের বিরল আবাসিক পাখি। বার্ড ফটোগ্রাফারদের কাছে এ পাখির ছবি তোলার আগ্রহ বেশ। কারণ এ পাখির বিচরণ চোখে পড়া খুব কঠিন। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনগুলোতে এ পাখি এখনও কিছু দেখা যায়।
পাখিটির ইংরেজি নাম Malaysian night heron/Tiger bittern। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Gorsachius melanolophus। এটি Ardeidae পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। এরা বিশ্বে বিপদমুক্ত ও বাংলাদেশে মহাবিপন্ন বলে বিবেচিত। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
এ পাখির দৈর্ঘ্য ৫০ সে.মি.। এদের ওজন ৩৫০ গ্রাম বা এর কমবেশি হয়ে থাকে। দেহ লালচে, হলদে ঠোঁটের নিশাচর মাছশিকারী পাখি বন বাচকো। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির কালো ডোরাসহ পিঠ তামাটে। ঘাড় লাল। মাথার চারদিকে ঘন কালো ঝুঁটি। থুতনি ও গলা সাদা। ঘাড়ের উপরের অংশ লাল। বুকের উপরে কালো কালো লম্বা দাগ। বুকের নিচে লালচে। তলপেটে কালো তিলা। চোখ সোনালি-হলদে গোলাকার। পা সবুজ ও পায়ের পাতার সামনের অংশ বাদামি। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন।
এরা ঘন বনের মধ্যে বহতা নালা, জলা ও জলপ্রবাহ এবং জলমগ্ন বাঁশঝাড়ে বিচরণ করে। সচারচর একা ও জোড়ায় থাকে। এরা রাতে পানির উপর দাঁড়িয়ে বা পানিতে ধীরে ধীরে হেঁটে ঠোঁট দিয়ে শিকার করে।
এ পাখির খাদ্যতালিকায় রয়েছে মাছ, ব্যাঙ ও পানির অমেরুদণ্ডী প্রাণী। এরা বকের মতো ঠোঁট দিয়ে কোপ না মেরে ঠোঁট দিয়ে শিকার চেপে ধরে। দিনে পানির ধারে বড় কোনো গাছে ঘুমিয়ে থাকে। সন্ধ্যা হলেই এদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে গম্ভীর গলায় ডাকে।
মে থেকে জুলাই পর্যন্ত এদের প্রজননকাল। এ সময় ঘন বনে নদীর ধারে ছোট গাছে ডালপালা দিয়ে মাচার মতো বাসা বানায়। নিজেদের বানানো বাসায় মেয়ে পাখিটি তিন থেকে পাঁচটি সাদা ডিম পাড়ে। ছেলে ও মেয়ে পাখি উভয়েই ছানাদের পরিচর্যা করে।
ডেইলি বাংলাদেশ/কেবি