‘নরকের দরজা’ বন্ধের নির্দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ০০:১৫ ৯ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ০০:১৯ ৯ জানুয়ারি ২০২২

তুর্কমেনিস্তানের নরকের দরজা (ছবি: সংগৃহীত)
তুর্কমেনিস্তানে নরকের দরজা বা হেল ডোর নামে পরিচিত কারাকুম মরুভূমি গর্তের আগুন নেভানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ।
জানা গেছে, কারাকুম মরুভূমির দারভাজা নামের এক গ্রামের কাছে। বিশাল গোলাকার এক গর্ত। ১৯৭১ সাল থেকে সেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এই আগুন নেভাতে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকবার চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু নেভানো সম্ভব হয়নি। আবারো সেই গর্তের আগুন নেভাতে নির্দেশ দিয়েছেন তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
দেশটির পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত কারণে গর্তের আগুন বন্ধ করতে চান প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ। পাশাপাশি সেখান থেকে গ্যাস রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে তার।
আরো পড়ুন: কাজাখস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আটক
এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ বলেন, আমরা মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ হারাচ্ছি। যা দিয়ে আমার অনেক মুনাফা অর্জন করতাম এবং সেগুলো আমাদের জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা যেত।
কারাকুম মরুভূমির দারভাজা গর্তের সৃষ্টি নিয়ে রয়েছে নানা রহস্য। জানা যায়, ১৯৭১ সালে তুর্কেমেনিস্তান সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কয়েকজন সোভিয়েত ভূতাত্ত্বিক তখন খনিজ তেলের সন্ধানে কারাকুম মরু অঞ্চলে অভিযান শুরু করেন। এই উদ্দেশ্যে ড্রিলিং শুরু করলে কিছুদিনের মধ্যে তারা টের পান ভূ-গর্ভস্থ গ্যাসের এক ভাণ্ডারের উপরেই বসে আছেন তারা। এরপর এর কয়েক জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এই গ্যাসক্ষেত্রকে মুক্ত করা হয়েছিল। তবুও সেখানকার ভূ-গর্ভে জমে থাকা প্রাকৃতিক গ্যাস পুরোটা বের করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভূ-পৃষ্ঠের একটা বড় অংশ তারা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। তাদের আশঙ্কা ছিল গ্যাসক্ষেত্র থেকে বিষাক্ত গ্যাস আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। তাই তারা এই গ্যাসক্ষেত্রটিতে অগ্নিসংযোগ করেন।
আরো পড়ুন: ইয়েমেনে ব্যাপকভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি
তাদের ধারণা ছিল, হয়তো কিছুদিন এই গ্যাসক্ষেত্রটিতে আগুন জ্বলবে। তারপর বন্ধ হয়ে যাবে। তবে তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই গ্যাসক্ষেত্রটিতে ক্রমাগত আগুন জ্বলেই যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরাও জানে না এই আগুন কবে বন্ধ হবে।
গর্তটি তুর্কমেনিস্তানে পর্যটকের অন্যতম জনপ্রিয় স্থান। নরকের এক ঝলক দেখতে সেখানে ভিড় জমায় পর্যটকরা।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএডি