পূর্বাচলে মার্চে বাণিজ্যমেলা, পাচ্ছে স্থায়ী কেন্দ্র
নিজস্ব প্রতিবেদক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১০:২৬ ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ আপডেট: ১৫:৫১ ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

শেরে-বাংলা নগরের বাণিজ্যমেলা- ফাইল ছবি
এত বছর ধরে অস্থায়ী কেন্দ্রে আয়োজন করা হলেও ২০২১ সালের বাণিজ্যমেলা হবে পূর্বাচলে স্থায়ী কেন্দ্রে। করোনার কারণে দেরি হলেও এ মেলা শুরু হবে ১৭ মার্চ। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নামে এই স্থায়ী কেন্দ্রটি ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে বুঝে পাবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
এর আগে ২০২১ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা পূর্বাচলে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এসে এ সিদ্ধান্তেরই প্রতিফলন হতে যাচ্ছে।
ইপিবির মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, পূর্বাচলে ২০ একর জমির ওপর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নামে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শেষে হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে এটি আমরা বুঝে পাবো। এটি নির্মাণ করেছে একটি চীনা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে বাণিজ্যমেলা করার জন্য সরকারের কাছে ৩৮ একর জমি চেয়ে ২৬ একর জমি পেয়েছিল ইপিবি। আরো ১২ একর জমি প্রক্রিয়াধীন। ২০ একর জমির ওপর এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ হয়েছে। ৬ একর জমিতে হবে ওয়্যার হাউজ, পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্থায়ী ফুড সেন্টার ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থাসহ প্রশাসনিক ভবন। এগুলো এখনো নির্মাণাধীন। আর এই বিশাল কর্মযজ্ঞের ঘোষণাটি এসেছিল ২০১৯ সালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সমাপ্তির দিনেই।
সে বছর ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা স্থায়ীভাবে পূর্বাচলে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে বাণিজ্যমেলার নিজস্ব কেন্দ্র করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, ২০২১ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা হবে পূর্বাচলের নিজস্ব জায়গায়।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচলে প্রায় ৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে ব্যয়ও বাড়ানো হয় ১৭০ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে এই উদ্যোগটি নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএইচ/এইচএন