কারাগারে ইরফান সেলিম
নিজস্ব প্রতিবেদক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ০২:১৬ ২৭ অক্টোবর ২০২০ আপডেট: ০৩:০৩ ২৭ অক্টোবর ২০২০

কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে হয়েছে ইরফান সেলিমকে
এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কারাগারে প্রবেশের পরপরই ইরফানসহ দেহরক্ষীকে শরীর তল্লাশির পর নিয়ম অনুযায়ী কারাগারে করোনাভাইরাস সতর্কতার জন্য ভেতরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।
এর আগে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মো. জাহিদকে এক বছর করে জেল দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস ও বিদেশি মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে দু’জনকে।
গতকাল দুপুরে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান সেলিম জানিয়েছেন, এসব ওয়াকিটকির মাধ্যমে তিনি তার বাসার আশপাশের পাঁচ থেকে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সঙ্গে কথাবার্তা এবং যোগাযোগ রাখতেন।
র্যাব জানিয়েছে, উদ্ধার ভিপিএস সেটগুলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিটেক করতে পারত না। তার বাসার চার ও পাঁচতলার কন্ট্রোল রুম থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও আজ (সোমবার) ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএ