রায়হান হত্যাকাণ্ড: প্রশ্ন একটাই, এসআই আকবর কোথায়?
সিলেট প্রতিনিধি ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১১:০১ ১৮ অক্টোবর ২০২০ আপডেট: ১৬:২১ ১৮ অক্টোবর ২০২০

এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া
সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ৬ দিন পরও হদিস মিলেনি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার। তবে ঘটনার পর থেকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া দুই এএসআই ও চার কনস্টেবল পুলিশের পাহারায় সিলেট পুলিশ লাইনে রয়েছেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য এরইমধ্যে কাষ্টঘর এলাকার সুইপার কলোনির সুলাই লালসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, আকবর হোসেন ভূঁইয়া কোথায়? সিলেট মহানগর পুলিশের লাপাত্তা এই অফিসারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ঘটনার পর থেকেই আকবর পলাতক রয়েছে। পুলিশ সব বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। তারা চাইলে আকবর ছাড়া অন্যদের তাদের কাছে দেয়া হবে।
পিবিআই সিলেটের এসপি মো. খালেদুজ্জামান জানান, তদন্তকালে যাদের না পাওয়া যাবে, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মামলাটি স্পর্শকাতর, তাই সব বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। সেজন্য পিবিআই’র এর তদন্ত দল নানা বিষয় মাথায় রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
রায়হান হত্যার ঘটনার পর থেকে পুলিশ লাইনে অভিযুক্ত ছয়জন পুলিশের পাহারায় রয়েছেন। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, হত্যা মামলাটির পুরো বিষয় তদন্ত করছে পিবিআই। আর তাদের সহযোগিতা করছে পুলিশ। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত হওয়া ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে খুঁচ্ছে। এরইমধ্যে সম্ভাব্য কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এছাড়া সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে এসআই আকবর যেন দেশ ছাড়তে না পারে, সেজন্য পুলিশের নজরদারি রয়েছে।
নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি কিছুই চাই না, আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। সেই সঙ্গে যমদূত এসআই আকবরকে ধরার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানাই।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুর ৩টা ১০ মিনিট পর্যন্ত আকবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতেই অবস্থান করছিলেন। তখন পর্যন্ত তাকে বেশ চিন্তিত দেখা গেছে। এরপরই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান তিনি। আকবর তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট এবং সরকারি সেট দুটোই ফাঁড়িতে রেখে গায়েব হয়ে যান। গা ঢাকা দিয়ে কোথায় আছেন, সেই হদিস কেউ দিতে পারছেন না। তার আগে সে খুনের সব আলামত নষ্ট করে দেয়।
তবে ফাঁড়ির ইনচার্জ গা ঢাকা দিলেও অভিযুক্ত অন্য সদস্যদের পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। এএসআই আশেক এলাহি, কুতুব উদ্দিন, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ, হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও সজিব এখন পুলিশ লাইনে বিশেষ নজরদারিতে আছেন। তবে রায়হান হত্যার ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেএস