ওষুধ নয় আদা খেলেই হবে ঠাণ্ডা উধাও
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১২:০০ ৭ এপ্রিল ২০২০ আপডেট: ১২:০৩ ৭ এপ্রিল ২০২০

ছবি: ঠাণ্ডা সারায় আদা
রান্নাঘরের অতি জনপ্রিয় একটি মশলাজাতীয় উপাদান হলো আদা। পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে আদা প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এক আদার রয়েছে হাজারো গুণ।
গ্রীষ্মকালের এই সময় ঠাণ্ডা, কাশি ও জ্বর হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই ওষুধে ভরসা না রেখে ঠাণ্ডা সারাতে আদা ব্যবহার করুন। আদা দিয়ে তৈরি কয়েকটি পানীয় পান করলেই ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে নিস্তার মিলবে। জেনে নিন পানীয়গুলো তৈরির নিয়ম-
আদা ও তুলসির চা
আদার পাশাপাশি তুলসিও কিন্তু প্রাকৃতিক এক দাওয়াই। ঠাণ্ডার সমস্যায় তুলসির ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকে আজো চলমান। আদার সঙ্গে চার পাঁচটা তুলসি পাতা মিশিয়ে চা তৈরি করুন। প্রথমে এই পানি ফুটিয়ে তাতে অন্যান্য উপাদান যোগ করুন। আদা ও তুলসি একসঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং জ্বরের পাশাপাশি মাথা-ব্যথা ও কাশি থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে।
আদা ও মধুর পানীয়
ঠাণ্ডার পাশাপাশি অনেকের গলা ব্যথার সমস্যাও থাকে। এই সময় কিছু আদা কুচি করে পানিতে ফুটিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা মধু যোগ করে পান করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আদা গলা ব্যথা কমায়। মধু কাশি ও ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করে।
লেবু ও আদার পানীয়
যাদের ঠাণ্ডা বসে গিয়েছে অর্থাৎ কাশি দিলেই শ্লেষ্মা বের হচ্ছে তাদের জন্য লেবু ও আদার পানীয়টি বেশ কার্যকরী। গরম আদার পানিতে লেবুর রস যোগ করে পানীয় তৈরি করতে পারেন। আদা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। সাধারণ সর্দি কাশির জীবাণু দূর করতে পারে। অন্যদিকে লেবুতে আছে ভিটামিন সি যা মিউকাস বা শ্লেষ্মা বের করে দিয়ে ব্যথা ও অস্বস্তি থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে।
কাঁচা আদা
ঠাণ্ডা, কাশি থেকে রক্ষা পেতে কাঁচা আদা খাওয়া বেশ উপকারী। দিনে দুই থেকে তিনবার খাওয়া হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
আদার গুঁড়া
বর্তমানে বিভিন্ন সুপারশপে বা মুদি দোকানে আদার গুঁড়া পাওয়া যায়। যদি হাতের কাছে কাঁচা আদা না থাকে তখন গুঁড়া দিয়েই কাজ চালানো যাবে। রান্নাতে আদার গুঁড়া ব্যবহার করলেও মিলবে উপকার। সর্দি-কাশি উপশমে এটা খুব ভালো কাজ করে।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেএমএস