বাণিজ্যমেলা ঘিরে ডিএমপির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ০১:১৬ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ আপডেট: ০৮:০৩ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

ফাইল ছবি
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০। মাসজুড়ে এ মেলাকে ঘিরে এরইমধ্যে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দফতরে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মেলার নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত অলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান।
তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে মেলার দর্শনার্থীদের আলাদা প্রবেশ ও বাহির গেট থাকবে। প্রবেশের আগে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করানো হবে। প্রবেশ গেটগুলোর দিক নির্দেশনামূলক ডিজিটাল সাইনবোর্ড থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা দিয়ে পরো মেলা এলাকা ও তার আশপাশ ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। মেলা চলা সময় পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং মেলা প্রাঙ্গণ বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম জানান, মেলার অভ্যন্তরে সুবিধাজনক স্থানে ৪টি হেল্প ডেস্ক থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। মেলায় মাইকিং করে যানবাহন পার্কিং সংক্রান্তে নির্দেশনা প্রচার করা হবে। মেলায় থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। মেলার অভ্যন্তরে দৃশ্যমান স্থানে ২টি অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে। এতে সার্ভিস ডেলিভারি অফিসাররা দায়িত্ব পালন করবেন।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রতিটি স্টলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে ফায়ার সার্ভিসের একটি সাব-স্টেশন থাকবে। মেলার অভ্যন্তরে উচ্চ শব্দের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের পরিবর্তে স্বল্প শব্দের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে লোকেশন সম্বলিত সাইড ম্যাপ থাকবে।
তিনি আরো জানান, বাণিজ্য মেলায় ফুড কোর্টে মূল্য তালিকা সার্বক্ষণিক প্রদর্শিত করতে হবে। যদি ফুড কোর্টে মূল্য তালিকা প্রদর্শিত না করা হয়, তবে ভ্রমমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে সেই স্টলকে জরিমানা করা হবে। প্রতি সাতদিন পরপর মেলার আইন শৃঙ্খলা কার্যক্রম রিভিউ করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা প্রাঙ্গণে কোন হকার ও ভিক্ষুক থাকবে না।
সভায় ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ও সরকারি সেবাদানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএইচ