বিমানের টিকিট জালিয়াতি: প্রতারক মাহবুবুর রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১৮:০৩ ১৩ মে ২০২২ আপডেট: ১৮:০৪ ১৩ মে ২০২২

গ্রেফতার মাহবুব। ছবি: সংগৃহীত
বিমানের টিকিট বিক্রি করে পরবর্তী সময়ে যাত্রীকে না জানিয়ে টিকিট রিফান্ড করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার প্রতারক মাহবুব উর রশিদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইশরাত জাহানের আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন তাকে আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এরপর রাজধানীর ভাটারা থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, বুধবার রাতে রাজধানীর কলাবাগানের ২৪ গ্রীন রোডের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় তার কাছে থেকে বিভিন্ন এয়ালাইন্সের ৮১টি ভুয়া টিকেট, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন, ২টি কম্পিউটার, একটি কালো রঙয়ের জীপগাড়ি, ১২টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও একটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রতারক মাহবুব বিভিন্ন দেশে গমনাগমন, ওমরাহ পালন, সিঙ্গেল টিকিট, আপ-ডাউন টিকিটসহ বিভিন্ন বিষয়ের টিকিট বিক্রি করতে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে থাকে। কোন বিদেশ যাত্রীর টিকেট প্রয়োজন হলে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবি নেয়। পরবর্তী সময়ে দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিক সাদের মাধ্যমে বেশ কিছু এজেন্সির সহায়তায় টিকিট সংগ্রহ করে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে যাত্রীকে প্রদান করে।
কিন্তু মাহবুব যাত্রার পূর্বেই সামান্য জরিমানা দিয়ে টিকিট রিফান্ড করে নেয়। ফ্লাইটের দিন মেডিকেল অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা স্টাডি এডমিশন বা পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যাওয়া যাত্রীরা টিকেট ইনভ্যালিড দেখতে পান। তখন যেন ঐসব যাত্রীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়।
পরবর্তী সময়ে যাত্রীরা আবার তার সঙ্গে কথা বলে আরো অর্থের বিনিময়ে পুনরায় টিকিট সংগ্রহ করেন এবং আবারো তারা একইভাবে প্রতারিত হন। যাত্রীরা আবার যোগাযোগ করলে মাহবুব মোবাইল বন্ধ করে অফিস পরিবর্তন করে ফেলে। মাহবুব এরই মধ্যে ২০১৫ সালে প্যান্টেট ওভারসিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠাতে গিয়ে ডিএমপির মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি থানায় পৃথক মানব পাচার মামলার আসামি হন।
এরপর থেকে ঢাকার একাধিক স্থানে এমকিউ ট্রেড, এমকিউ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস কনসালটেন্সি নামে বিভিন্ন অফিস পরিবর্তন করে এ প্রতারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরআর/জেডআর