পোশাককর্মীকে হত্যার পর মাটিচাপা: রিকশাচালক রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১৮:০২ ১৮ এপ্রিল ২০২২

ছবি: প্রতীকী
ধর্ষণের কথা গোপন করতে অস্বীকৃতি জানানোয় পোশাককর্মী শারমিন বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার মামলায় রিকশাচালক সুমন মালির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. সেলিম খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট বিজন চন্দ্র ধর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৬ এপ্রিল সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে মাটিচাপা অবস্থায় পোশাক শ্রমিক শারমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর গতকাল রোববার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন মালিকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সুমন রিকশাচালক। ভিকটিম শারমিন খিলক্ষেতে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সুমন কিছুদিন ধরে শারমিনকে অনুসরণ করত। ১০-১২ দিন আগে শারমিনের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয়। চার-পাঁচ দিন ধরে শারমিনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিমকে তার রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। ১৫ এপ্রিল ঘুরাঘুরির কথা বলে ভিকটিমকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট এলাকায় ডেকে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে। ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা গোপন করতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। সে নালিশ জানাবে বলে সুমনকে জানায়। এতে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাস্তার পাশে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শারমিনের ভাই আজিজুল খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরআর/আরএইচ