রাবিতে শীতের বার্তা নিয়ে এলো ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি
আশিক ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১৭:২০ ২৮ নভেম্বর ২০২০ আপডেট: ১৭:৩৪ ২৮ নভেম্বর ২০২০

খালেদা জিয়া, তাপসী রাবেয়া, রহমতুন্নেছা হলের পেছনের চামপচা, শামসুজ্জোহা হলের পাশের পুকুরসহ বেশ কয়েকটি জলাশয়ে বসেছে পাখির মেলা। ছবি: হাচনাইন দিপু
শরতের বিদায়, হেমন্তের আবির্ভাব। খুব সকালে দরজা ঠেলে বের হলেই কুয়াশার আবরণ, এরপর সবুজ দুর্বাঘাসে পা ফেলতেই শিশিরের বিন্দুকণার পরশ। ঠিক তখনই অনুভূতির ভাষায় শব্দ জমাট হয় ‘এ যেন শীতের আগমণ’। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এরই পাশাপাশি এ বার্তা নিয়ে এসেছে অতিথি পাখিরা।
অন্যসব বছরের মতো এবারও খালেদা জিয়া, তাপসী রাবেয়া, রহমতুন্নেছা হলের পেছনের চামপচা, শামসুজ্জোহা হলের পাশের পুকুরসহ বেশ কয়েকটি জলাশয়ে বসেছে পাখির মেলা। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা মিলবে ছোট সরালি। এছাড়াও আছে বড় সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুন্তে হাঁস, ভূতি হাঁস ও ঝুঁটি হাঁস। এসব পাখিদের থাকে ডাঙায় আর পানিতে। বেশিরভাগেই হাঁস জাতীয়।
পাখি বিশেষজ্ঞরা জানান, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হিমালয়ের উত্তরে প্রচণ্ড শীত নামে। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন, নেপাল ও ভারতে প্রচুর তুষারপাত হয়। শীতের তীব্রতা সইতে না পেরে পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে পাড়ি জমায় বিভিন্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। বাংলাদেশের যেসব এলাকায় পাখি আসে এরমধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, ক্যাম্পাসে অন্যান্য সময় খুব কম পরিমাণে পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। তবে এবারে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আমাকে মুগ্ধ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় ও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পাওয়ায় কয়েক বছর ধরে আসছে। এবারও এসেছে। এরইমধ্যে তিন থেকে চারশত সরালি পাখি পাড়ি জমিয়েছে ক্যাম্পাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা আরো বলেন, চলতি মাসের ৫ নভেম্বর থেকে পাখিরা আসতে শুরু করেছে। পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীদের সতর্ক থাকতে বলেছি।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম