অনলাইনে প্রতারণা, ক্রেতাদের পাঠাতেন পুরোনো-ছেঁড়া শাড়ি

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে ই-কর্মাসের নামে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। 

এরা হলেন- বাপ্পি হাসান (২৪), আরিফুল (১৯), সোহাগ হোসেন (২২), বিপ্লব শেখ (২৫) ও নুর মোহাম্মদ (২৮)। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পুরোনো কাপড় ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গ্রাহকদের থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০ লাখ টাকার পণ্যের ফরমাশ নিয়ে নিম্নমানের শাড়ি, লেহেঙ্গা ও থ্রি-পিচ সরবরাহ করতেন চক্রের সদস্যরা। তারা বাসাবাড়ি থেকে পুরোনো কাপড় অল্প দামে কিনে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতেন। 

তিনি বলেন, চক্রের সদস্যরা নতুন নতুন ফেসবুক পেজ খুলে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। পেজে আকর্ষণীয় পণ্যের ছবি দিয়ে অর্ডার নিতেন। পরে এস এ পরিবহনের মাধ্যমে ছেঁড়া ও পুরোনো কাপড় গ্রাহকদের জন্য পাঠাতেন। এ চক্রকে সহায়তা করতেন এস এ পরিবহনের কয়েকজন কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

ডিএমপির কর্মকর্তা আরো বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের নাম পেয়েছি। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ জানায়, রাজধা্যনীর কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা আবদুল আজিজ অনলাইনের একটি পেজ থেকে দুটি শাড়ি অর্ডার করেছিলেন। কুরিয়ার সার্ভিস এস এ পরিবহনে টাকা জমা দিয়ে পণ্য নিয়ে আসেন তিনি। বাসায় এসে দেখেন দুটি শাড়িই পুরোনো ও ছেঁড়া। পরে ঐ ই-কর্মাস পেজের দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করেও টাকা ফেরত পাননি।

আবদুল আজিজের মতো প্রতারণার শিকার হয়েছেন অপর এক ব্যক্তি। তিনি দুই মেয়ের জন্য অনলাইনে দুটি শাড়ির অর্ডার করেছিলেন। 

ডিবি জানায়, এ ধরনের পেজ থেকে সাধারণ দুই থেকে চার হাজার টাকার কেনাকাটা করেন গ্রাহক। তাই প্রতারণার শিকার হয়েও ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা অভিযোগ করেন না। আর এ সুযোগই কাজে লাগান চক্রের সদস্যরা। ডিবি আরও জানায়, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডিএমপি হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।