ফাল্গুনেও দেখা নেই মুকুলের
ফয়সাল মাহমুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১০:৫৬ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
ফাল্গুন মাস শুরু হলেও আশানুরূপ আমের মুকুলের দেখা মিলছে না চাঁপাইনবাবগঞ্জে। কিছু গাছে মুকুল এলেও তা খুবই সামান্য।
গবেষকরা জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে আম গাছে দেরিতে মুকুল আসছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, দেরিতে মুকুল এলে আমও পাকবে দেরিতে। এতে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এক দশক আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে মধ্য জানুয়ারি অর্থাৎ মাঘ মাসের শুরুতেই গাছে গাছে মুকুল দেখা দিতো। মধ্য মাঘেই মুকুলে ছেয়ে যেতো গাছ। এবার ফাল্গুন শুরু হলেও আশানুরুপ মুকুলের দেখা নেই।
আম চাষিরা জানান, বাগানের দুয়েকটি গাছে এসেছে মুকুল। এখন মুকুলের পরিচর্যা করছেন তারা। কয়েক বছর ধরেই মুকুল কিছুটা দেরিতে আসছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের সরকারপাড়ার বাগান মালিক আব্দুল আলীম বলেন, ‘এখন মুকুলের পরিচর্যা করছি, ছত্রাকনাশক, বিষ দিচ্ছি। আবহাওয়ার কারণে এ বছর জেলার সব বাগানেই মুকুল দেরিতে এসেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের যা পর্যবেক্ষণ তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবছর মধ্য জানুয়ারিতে মুকুল এলেও এবার আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সপ্তাহ দুয়েক পিছিয়ে গেছে। মাঘের শেষদিন পর্যন্ত বেশ শীত ছিলো। তাপমাত্রা কম থাকায় আম গাছে মুকুল আসছে না।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আম বাগান করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ শতাংশ বাগানেও মুকুল আসেনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, তাপমাত্রা একটু বাড়লেই গাছ মুকুলিত হয়ে যাবে। প্রাকৃতিকভাবে মুকুল একটু দেরিতে আসাকে ভালো মনে করি। মুকুল দেরিতে আসা বা আম দেরিতে পাকা সবই চাষিদের পক্ষে যায়। এতে আমের দাম ভালো পাওয়া যায়।
ডেইলি বাংলাদেশ/এআর