বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব তথ্য জানাবে চবির ‘অ্যাপস’
রুমান হাফিজ, চবি ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকমপ্রকাশিত: ১৫:৩০ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ আপডেট: ১৫:৪৪ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ডেইলি বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে অ্যাপসে। এই অ্যাপসের নাম ‘অ্যাডমিশন এসিস্ট্যান্ট’। বানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র।
তারা হলেন আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল্লাহ জাওয়াদ খান, মাহবুবুর রহমান, শোভন মাহমুদ। সবাই ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। সাফায়াত সিদ্দিকী প্রথম বর্ষের ছাত্র।
মামুনের নেতৃত্বে অ্যাপসটির কাজ শুরু হয়। অ্যাপসটির সার্ভার ম্যানেজমেন্ট এবং ডিজাইনিংয়ে কাজ করেছেন আবদুল্লাহ জাওয়াদ খান, মাহবুবুর রহমান ও শোভন মাহমুদ। ডাটা এনালাইসিসে কাজ করেছেন সাফায়াত সিদ্দিকী।
অ্যাপস নিয়ে শুরুর গল্পটা বললেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ২০১৪ সাল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। তখন থেকেই আমার চিন্তা ছিল কিভাবে এসব সমস্যার সমাধান করা যায়। তারপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। শুরুতেই পড়ালেখার চাপ ছিল।
২০১৮ সালে সিদ্ধান্ত নিলাম, যে করেই হোক এ সবের সমাধান করতেই হবে। তখন ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলি। সবাই আন্তরিক। এরপর তিনমাস কাজ করেছি। অ্যাপসটি এখন প্লে-স্টোরে উন্মুক্ত করেছি সেপ্টেম্বর মাসে। অ্যাপসটিকে আরো কার্যকর ও নির্ভুল করার চেষ্টা করছি। এখন প্রায় ৩০টির মতো ফিচার আছে, শিগগির আরো অনেকগুলো ফিচার সংযুক্ত হবে।
যেভাবে ব্যবহার করা যাবে এই অ্যাপস
অ্যাপসটি ব্যবহারের জন্য প্রথমেই ব্যবহারকারীর ফোন নাম্বার অথবা মেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এর পর দেখা যাবে অ্যাপসের বিশেষ বিশেষ ফিচারগুলো। এই অ্যাপস ব্যবহার করেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি রয়েছে বিকাশ/রকেটের মাধ্যমে অ্যাডমিশন ফর্মের ফি দেয়ার সুযোগ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিফুল বলেন, সবচেয়ে ভালো লেগেছে অ্যাপের এসএমএস সার্ভিস। এর জন্য অনেক সময় সেইভ হয় এবং সহজেই সব ভার্সিটির আপডেট পাই।
সুবিধা
সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সার্কুলার দেয়া আছে অ্যাপসে। সার্কুলার বোঝার সুবিধার্থে সহজ ফরম্যাট আছে। ক্যাটাগরিতে ক্লিক করলেই জানা যাবে সব তথ্য। পাশাপাশি প্রতিটি সার্কুলার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই নোটিফিকেশনে ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেয়া হবে।
যাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন নেই চাইলে আপনি তাকেও হেল্প করতে পারবেন। কারণ এক ফোন দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আছে। কিভাবে? আপনার মোবাইল দিয়ে যার জন্য অ্যাকাউন্ট করবেন শুধু তার ফোন নাম্বার ব্যবহার করে আরেকটি অ্যাকাউন্ট খুলে এসএমএস সার্ভিস অন করে দিলেই তার কাছেও ভর্তি পরীক্ষার ইনফরমেশন পৌঁছে যাবে।
ভার্সিটি অ্যাডমিড কার্ড, সিট প্ল্যান, রেজাল্ট পাবলিশ হবে তা সঙ্গে সঙ্গেই দেখা যাবে। আছে ‘নোটপ্যাড’। যা গুগল ড্রাইভের মতো ফোন নষ্ট কিংবা হারিয়ে গেলেও তা ঠিকঠাকভাবেই পাবেন পুনরায় লগইনের মাধ্যমে।
ভর্তিযুদ্ধে অচেনা শহরে কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন এসব সমস্যাদির জন্যও রয়েছে সমাধান। আছে ‘ম্যাপিং’ সুবিধা। এতে করে আপনার শহর হতে অনায়াসে বিভিন্ন ভার্সিটি চলে যেতে পারবেন কারো সাহায্য ছাড়াই। আর রয়েছে বাস, ট্রেন টিকেট বুকিং করার সুবিধা। এমনকি রয়েছে হোটেল বুকিং করার সুবিধাও!
অ্যাপসটি এরইমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ এর অধীনে জাতীয় পর্যায়ে কম্পিটিশনের জন্য মনোনীত হয়েছে।
অ্যাপসটির ডাটা এনালাইসিসের দায়িত্বে থাকা প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী সাফায়াত সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আগের এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করছি এই সময়টাতে ভর্তি তথ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে যেন মূল্যবান সময়ের অপচয় না হয়।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম